শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার থেকে শতভাগ মরণনেশা ইয়াবা নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের র্যাব-১৫ এর উইং কমান্ডার মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন। রোববার সকালে র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কক্সবাজারের র্যাব কমান্ডার বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে নতুন করে আসা বিপুলসংখ্যাক রোহিঙ্গার কারণে ইয়াবা ব্যবসা বা পাচার বরাবরের মতোই রয়ে গেছে। বন্দুকযুদ্ধে কয়েকশ’মাদক ব্যবসায়ী নিহত ও দুই দফায় আত্মসমর্পণের পর কিছুটা আশা করা গিয়েছিল মাদক অনেকটা নির্মূল হবে। কিন্তু প্রতিনিয়ত বরাবরের মতোই ধরা পড়ছে ইয়াবা ব্যবসায়ী। আর উদ্ধার হচ্ছে মরণনেশা ইয়াবা। যে কারণে শতভাগ মাদক নির্মূল কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক বেশ কিছু বড়মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ী তৈরি হয়েছে। যারা বর্তমানে স্থানীয়দের খুচরা ব্যবসায়ী বানাচ্ছে এবং অল্প টাকায় সরবরাহকারী হিসেবে ব্যবহার করছে।
উইং কমান্ডার আজিম উদ্দিন আরও বলেন, আমি গত ১৬ মাস ধরে ইয়াবার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সাঁড়াশি অভিযান করেছি। কিন্তু শেষ করতে পারছি না। উদ্ধার হচ্ছে, মরছে, তারপরেও আসছে ইয়াবা। তবে দুঃখজনক হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা যে পরিমাণ কমার কথা সে পরিমাণ কমেনি বরং পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে আরও বাড়ছে। এতে আমাদের প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আগামী প্রজন্মের স্বার্থে সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।
র্যাব কমান্ডার বলেন, মাদক ব্যবসা বৃদ্ধির পেছনে রোহিঙ্গাদের বড় ভূমিকা আছে এটা যেমন সত্যি, ঠিক তেমনি কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক কর্মীও রয়েছে। যে কারণে বর্তমানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইয়াবা পৌঁছে গেছে এবং চাহিদা বেড়ে গেছে।
মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের ঘোষণা- ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মাদকমুক্ত করার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে র্যাব কমান্ডার বলেন, র্যাবের পক্ষ থেকে মাদক নির্মূলে সব সময় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে যে সুসম্পর্ক ছিল তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এ সম্পর্ক বাড়িয়ে মাদক নির্মূলে সফলতা আনতে হবে।
মতবিনিময় সভায় র্যাব-১৫ এর মেজর মেহেদী হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার বিমান চন্দ কর্মকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কক্সবাজার শহর এবং উখিয়ার বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন