বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে ‘ডিজিটাল শিক্ষাসহায়ক উপকরণ প্রদান’ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ দেয়া শুরু করেছে দেশীয় প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝেও সহজ শর্তে ল্যাপটপ দেবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। ২২ জুলাই ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেয়া। অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ তৈরি করা হলেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও সে সুযোগ গ্রহণ করতে পারেনি। কারণ, তাদের অবকাঠামোগত প্রস্তুতি ছিল না। সে বিবেচনায় সারা দেশে ‘স্কুল অব ফিউচার সফটওয়্যার প্লাটফর্ম’ মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পারবে বলে জানান তিনি।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘সেন্টার অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গবেষণা করে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শুধু বাংলাদেশের সমস্যাই সমাধান করবে না, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে গ্রাম পর্যন্ত ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে।
দেশের সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের উপযোগী করে তুলতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় মাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ‘প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিতে সরকার সারা দেশে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে এবং আরও ৫ হাজার ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের আওতায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ট্রেনিং প্রদান করা হচ্ছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল ইনকিউবেশন সেন্টার, সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক তৈরি করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন পলক।