বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাবাজার খবর অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা ও বিভাগীয় শহরে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। journalist.hadi@gmail.com এবং newsbbazer@gmail.com এই ইমেইল দুই কপি ছবি ও দুইটি নমুনা প্রতিবেদনসহ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন। বিভাগীয় শহরে ব্যুরো অফিস দেওয়া হবে।

শাহজালাল বিমানবন্দের পাশেই তৈরী হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন হেলিপ্যাড লেক ও পার্ক

★ পরিবেশ বান্ধব ও দৃষ্টিনন্দন পার্ক ও খেলার মাঠ থাকবে
★সাড়ে চার লাখ কিউসিক পানি ধারণক্ষমতার লেক তৈরী করে জলাশয় সংরক্ষণ করা হবে
★ নির্মাণ হবে আধুনিক হেলিপ্যাড

নিজস্ব প্রতিবেদক :

এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে তৈরী করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন হেলিপ্যাড, লেক -পার্ক,বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন। প্রায় দেড় শতাধিক একর জায়গার ওপর এসব অবকাঠামো নির্মানের জন্য জাপানী একটি প্রতিষ্টানের সহায়তায় তৈরী হচ্ছে এ প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান। দীর্ঘ দিন ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ওই জায়গাটি এখন আবাসন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হলো। ফলে বিমানবন্দর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি এলাকার সৌন্দর্যও বর্ধন করা হবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃর্পক্ষ (বেবিচক) সদর দপ্তর জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হলে এর কর্মব্যস্তগা বাড়বে। সেই সাথে সংস্থার জনবলও অনেক বাড়বে। ইতোমধ্যেই সিভিল এভিয়েশনে নতুন করে আরো আড়াই হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে, আরো পাঁচ হাজার আগামী এক বছরের মধ্যে নিয়োগ দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে চাহিদা মোতাবেক জনবল বাড়বে। তাদের আবাসনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আবাসন ভবন, মার্কেট, ফায়ার সার্ভিস সেন্টার বিদূৎ এর সাব সেন্টার, কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল কলেজ, খেলার মাঠ, শিশু পার্কসহ একটি আধুনিক হ্যালিপ্যাড নির্মান করার লক্ষ্যে হাজী ক্যম্প সংলগ্ন প্রায় দেড় শত একর জমির উপর বিভিন্ন আবকাঠামো নির্মান হরা হবে।
সিভিল এভিয়েশন আরো জানান, ওই জমির কিছু আংশ জলাশয় রয়েছে। তবে এখানে সারা বছর পানি থাকে না। বর্ষাকালে ওইস্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে লেক নির্মাণ করা হবে। জলাশয় সংরক্ষন করে গভীর লেক খনন হরা হবে। এতে করে কমপক্ষে সাড়ে চার লাখ কিউসেক পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়বে ওই লেকের। সেই সাথে লেকের উভয় পাশে থাকবে হাঁটার রাস্তা, থাকবে পরিবেশবান্ধব গাছপালা, থাকবে ফুল ও ফলের বাগান। থাকবে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। বিমানবন্দরের বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে দ্রুত সহযোগিতার জন্য থাকবে কারীগরি সহযোগিতা কেন্দ্র।

সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো: মফিদুর রহমান বলেছেন, জলাশয় ভরাট নয়, বরং জলাশয় সংরক্ষন করে দৃষ্টিনন্দন লেক-পার্ক খেলার মাঠ,হেলিপ্যাড, আবাসন ও বাণিজ্যিক ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরী করা হবে।
আশকোনা হাজী ক্যাম্পের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে থাকবে অত্যাধুনিক হ্যালিপাড। যুগের চাহিদা পুরনে এ হ্যালিপ্যাড অত্যান্ত জরুরী।
চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান আরো বলেন, পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কার্যক্রম হবে না। জলাধার সংরক্ষন করার লক্ষ্যেই দীর্ঘ ও মোটামোটি গভীর লেক তৈরী করা হবে। তবে সব কিছুই করা হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে।

চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমরা এখানে আধুনিক হ্যালিপ্যাড নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘জলাশয়টি বেবিচকের নিজস্ব মালিকানাধীন জায়গায় অবস্থিত। এখানে একটি লেক হবে। জলাবদ্ধতাসহ পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। তাই পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছুই এখানে করা হবে না।

সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের আবাসন সংকট নিরসন হবে। দীর্ঘ দিন ধরে আবাসন ব্যবস্থার যে সমস্যা ছিল তা নিরসন হরা সম্ভব হবে।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে জলাশয় ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ক্ষতিকর হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না। বরং জলাবদ্ধতা নিরসন হবে, পরিত্যক্ত এলাকার পচা পানি, জলাবদ্ধা ও আবর্জনা দুর হবে, পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

Spread the love

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

© All rights reserved © 2019
Design & Developed BY আইটি হোস্ট সেবা