বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ১৫ মে শাক্তা ইউনিয়নের আটিবাজার এলাকায় আব্দুর রহমানের বাড়ির দেয়াল সংলগ্ন পেছনের ফাঁকা জায়গায় মাটিচাপা দেয়া অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই নারীর দেহে পচন ধরেছে এবং মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় ১৭ মে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে।
পরবর্তীতে পুলিশ মৃত নারীর পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। যে বাড়ির পেছনের ফাঁকা জায়গায় লাশ পাওয়া গেছে মৃত নারী ওই বাড়ির মালিক আব্দুর রহমানের ছেলে সাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী আক্তার মুন্নী। দেড় বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়েছিল।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর সপরিবারে গাঁ ঢাকা দেয় সাগর। অবশেষে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সাগর ও কামরাঙ্গীরচর থেকে সাগরের বোন সুমিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বুধবার বিকালে কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারের পর সাগর পুলিশকে জানিয়েছে, একতলা বাড়ির ছাদে লাভলীকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখে সে পরকীয়া বলে সন্দেহ করে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে এক পর্যায়ে সাগর কাঠের তক্তা দিয়ে লাভলীকে গুরুতর আঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। পরে সাগর নিচে নেমে দেখে লাভলী মারা গেছে। তখন সে লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পেছনে ফাঁকা জায়গায় মাটিচাপা দেয়।